সমবায় কর্মসূচী
সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য একদল মানুষের যৌথ উদ্যোগকে সমবায় বলা হয়। গ্রামবাসীর এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সমবায় কর্মসূচির ভালো দিক জনগনের সামনে তুলে ধরা ও সমবায় কর্মসূচিতে জনগনের আগ্রহ সৃষ্টি করা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব। জনগন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সমবায় সমিতি গঠন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
সমবায় আমরা কেন করবো?
সমবায় শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নয়। সমবায়ের মূলমন্ত্র হচ্ছে ‘‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’’। সমবায় সংগঠন বা সমিতি সমবায় সংগঠন ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও শক্তিকে এক করার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি করে।
প্রকৃত অর্থে সমবায়ের মূলনীতিই হলো সবারপ্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাবের সঞ্চার ঘটানো। অর্থের কারণে মানুষ বিভিন্নপেশায় নিয়োজিত হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত তার ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য সংগ্রামকরে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মানুষ যুগে যুগে বিভিন্ন পদ্ধতিআবিষ্কার করেছে, তার মধ্যে একটি অন্যতম এবং বিশ্বের কোটি মানুষের স্বীকৃতমাধ্যমের নাম সমবায়।
সমবায়ীপ্রচেষ্টা লক্ষনীয়। সমবায় সংগঠনের সকল সদস্যের সমান অধিকার। এখানে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষের পার্থক্য নেই। সমবায়ে সদস্যরা পারস্পরিকসহযোগিতা নিয়ে নিজেদের নিয়ে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষ্যে সমিতিগঠন করে।
সমবায় হলো এমন একটি দর্শন যেখানে, সমমনাসম্পন্ন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যখন মেধা, শ্রম, পুঁজি বিনিয়োগ করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করাই হলো সমবায়। মানুষ সৃষ্টির সেবা জীব। আর মানুষ কখনও একা থাকতে পারে না।বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘‘একলা মানুষ কখনোই পূর্ণ মানুষ হতেপারে না, অনেকের যোগে তবেই সে ষোল আনা পেয়ে থাকে।